এবার বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে নিহত ৯ জনের মধ্যে ৭ জনের মরদেহের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) সকালে মাদারীপুরের শিবচরের ভদ্রাসনে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজায় অংশ নেন গ্রামের শতশত মানুষ।
গতকাল শনিবার বরগুনার আমতলীতে খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে পড়ে মারা যান ৯ জন। এর মধ্যে পরিবারের ৭ সদস্য হারান শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহাপাড়া এলাকার সাবেক সেনা সদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজ। সবুজ এই এলাকার ফজলুর রহমান খানের ছেলে।
এদিকে নিহতেরা হলেন- মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), শাশুড়ি রুমি বেগম (৪০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামী মুন্নি বেগম (৪০), তার সন্তান তাহিয়া (৭), তাসদিয়া (১১), আরেক মামী ফাতেমা বেগম (৪০)। এ ছাড়া আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং কন্যা রিদিও (৫) এই ঘটনায় মারা যান।
নিহতদের আত্মীয় শুক্কুর আলী জানান, বুধবার বিয়ের অনুষ্ঠানে তারা বরগুনা গিয়েছিল। পরে সেতু ভেঙে খালে পড়ে যায় মাইক্রোবাসটি। এই ঘটনায় মাহাবুবের মা, ভাইয়ের স্ত্রী ও মামার পরিবারের মোট ৭ সদস্য মারা যান।
এদিকে মাদারীপুরের শিবচরের ভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বেপারী বলেন, একটি পরিাবরের ৭ জন একসঙ্গে মারা যাওয়ায় পুরো ইউনিয়নজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবারকে শান্ত্বনা দেয়ারও ভাষা নেই।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একসঙ্গে একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। ওই পরিবারের পাশে থাকবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।।